কৃষি আইন ইস্যুতেই দীর্ঘ দিনের শরিকি সম্পর্ক ছেদ করেছে শিরোমণি অকালি দল। এবার রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির বেনিওয়ালের গলাতেও হুঁশিয়ারির সুর। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি মোটেই সন্তোষজনক নয়। শেষ পর্যন্ত আসরে নামতে হয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকেও। রোববার ‘মন কি বাত’-এ তিন কৃষি আইন নিয়ে সাফাই দেয়ার পর সোমবারও ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টাচরিত্র করেছেন তিনি। বারাণসী-প্রয়াগরাজ জাতীয় সড়ক ১৯-এর ছয় লেনে প্রশস্ত করার প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে বেশিরভাগ সময়ই খরচ করলেন তিনি নয়া এই আইন নিয়ে। চেষ্টা একটাই, এক ঢিলে দুই পাখি মারতে হবে—উন্নয়নের ঢাক পেটানো এবং বিরোধীদের আক্রমণ। কংগ্রেস ও তৃণমূলকে টার্গেট করলেন তিনি কৃষক-বিরোধী তকমায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এত দিন কৃষকদের নামে স্রেফ প্রকল্প ঘোষণা হয়েছে, এমএসপি (ন্যূনতম সহায়ক মূল্য) নিয়ে ছলনা হয়েছে। কৃষি ঋণ মাফ করা নিয়েও ছলচাতুরি চলেছে। আমরা তা করিনি। সারের কালোবাজারি বন্ধ করেছি। একইভাবে খাদ্যশস্য সংগ্রহও বহুগুণ বেড়েছে। এমএসপি ব্যবস্থা অটুট আছে। থাকবেও।’
নাম না করে কংগ্রেসের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এত দিন যারা কৃষকদের নামে প্রকল্প ঘোষণা করে এক টাকার মধ্যে মাত্র ১৫ পয়সা দিত, তাদের তো আজ কৃষকদের বিভ্রান্ত করা ছাড়া গতি নেই। কৃষকরাও দীর্ঘদিন ঠকেছেন। তাই আশঙ্কায় ভুগছেন। কিন্তু এই সরকারের আমলে তা হবে না।’ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘দশকের পর দশক কৃষকদের নিয়ে ছলনা হয়েছে। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য গঙ্গাজলের মতো পবিত্র।’