পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, নতুন বছরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার। ১লা জানুয়ারি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সূচির দপ্তরের মন্ত্রী থিন সুয়েসহ দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর পাঠানো ‘নিউ ইয়ার গ্রিটিংস’ সংক্রান্ত পত্রে তিনি প্রত্যাবাসনের আবশ্যকতার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, প্রত্যাবাসন-ই আমাদের অগ্রাধিকার, একইসঙ্গে এটি চ্যালেঞ্জও। আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনক্লজ সভাকক্ষে সংবাদিকদের মন্ত্রী এসব কথা জানান।
আবদুল মোমেন জানান, চীনের মধ্যস্থতায় খুব দ্রুত মিয়ানমারের সঙ্গে একটি বৈঠক হবে বেইজিংয়ে। তিনি আশা করছেন, ওই বৈঠকে প্রত্যাবাসন শুরুর দিনক্ষণ ঠিক হবে।
তিনি আরও জানান, চীনের মতো জাপানও রোহিঙ্গা প্রত্যবাসনে সহযোগিতায় মধ্যস্থতা করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। মিয়ানমারে তাদের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। আমরা যে কারো সহযোগিতায় প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে চাই।এটাই আমাদের একমাত্র চাওয়া।
মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই- আমাদের ঘাড় থেকে এই বোঝা লাঘব হোক। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা তাদের স্বভূমে ফিরে যাক এবং শান্তিপূর্ণভাবে সেখানে বসবাস করুক।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে ভারতও আগ্রহ দেখিয়েছে। তারা বলেছে, এ নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলবে। আমরা ভারতের উদ্যোগকেও স্বাগত জানায়।