তাসপ্রিয়া বিনতে কাশেমঃ
উখিয়া টেকনাফ কক্সবাজারের রোহিঙ্গা প্রধান এলাকা। ২৬ হাজার একর জুড়ে বসবাস করছে ১২ লক্ষাধিক এর ও অধিক রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের কারনে কপাল পুড়েছে স্থানীয়দের। বিগত তিন বছররের ও অধিক সময় ধরে তারা এখানে আশ্রয় নিয়েছে।
প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এ উখিয়া টেকনাফ আজ যেন বিভীষিকাময়। পরিনত হয়েছে স্থানীয় জনসাধারণ এর আতঙ্কে। যেন দিয়েছি অক্সিজেন নিচ্ছি বিষাক্ত কার্বনডাইঅক্সাইড।
নিজেদের আবাদি জমিতে আবাসস্থল তৈরি করে দিয়ে মানবতার নজির স্থাপন করাই যেন কাল হয়ে দাড়ালো স্থানীয়দের জিবনে। তারা পাচ্ছে ত্রান আমরা পাচ্ছি মলমুত্রের ঘ্রান। এমন বক্তব্যে ক্ষোভ ছাড়ছেন স্থানীয়রা।
একদিকে দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি।অন্যদিকে সকল ধরনের শাক সবজি কিনে খেতে হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় যোগান কম হবার কারনে দ্রব্যমুল্যে যেন আগুন আগুন খেলা।
অন্যদিকে সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে স্থানীয় জনসাধারণ। গুম,খুন, মারামারি ধর্ষনসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে তারা।এমনকি স্থানীয়দের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে।ইয়াবার মত মাদক ছড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। মুলত রোহিঙ্গারাই মাদক সারাদেশে ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ সুশীল সমাজের
এখানে কাজ করছে দেশী বিদেশি প্রায় অর্ধশতাধিক এনজিও সংস্থা।এদের কার্যক্রম বিপাকে ফেলছে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে। কোনকারন দর্শানো নোটিশ ছাড়াই প্রজেক্ট শেষের বাহানায় স্থানীয়দের চাকরিচ্যুত করে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করে নিচ্ছেন চট্টগ্রামের বাহিরের লোকেরা।স্বজনপ্রীতি যেন তাদের চিরাচরিত নীতি। স্থানীয়দের জন্য বরাদ্দ রাখা ২৫% এর বাস্তবায়নেও নানা ধোয়াশা
এদিকে করোনার দোহায় দিয়ে গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে দ্বিগুনহারে। এনজিওর গাড়ি যেন লাগামবীহিন ঘোড়ার ন্যায়। প্রতিনিয়ত যানজট আর দুর্ঘটনা যেন নিত্যদিনকার ঘটনা।
যানজটে আটকে ব্যাহত হচ্ছে জনজিবন। ১৫ মিনিটের পথের পেছনে ব্যয় হছে ঘন্টা দেড় ঘন্টার অধিক সময়।মাঝেমাঝে চোখবুঝে রোগীদের আর্তনাদ শুনে হা হুতাশ করা ছাড়া কোন উপায় থাকেনা।
যেখানে ঘুম ভাঙ্গতো পাখির মধুর কলকাকলিতে সেখানে আজ গাড়ির বেপরোয়া হর্ন কিংবা কোন মৃত্যুর খবরে ঘুম ভাঙ্গছে।মানবতার যাতাকলে পিষ্ট হতে হতে আজ নিজেদের ভুমি হারানোর আতঙ্কে ভুগছেন সকলেই।
এ আতঙ্কের শেষ কোথায়? তবে কি নিজের জিবন কিংবা নিজভুমির মাধ্যমেই দিতে।মানবতার দাম?এমন প্রশ্ন জনমনে!!