হাফেজদের অভিভাবকরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অভিভাব। হিফজ শেষ করলেই তাদের দায়িত্ব শেষ হয় না; বরং তাদেরকে ঘরে-বাইরে হাফেজ সন্তানদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করার বড় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হয়। শনিবার টঙ্গীর তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা হিফজ বিভাগের পাগড়ী ও অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল কাইয়ুমের সঞ্চালনায় হিফজ বিভাগের পাগড়ী ও অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, তা’মীরুল মিল্লাত ট্রাস্ট্রের সেক্রেটারি বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবেদীন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ড. মুফতী আবু ইউছুফ খান, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, ড. শফিউদ্দিন মাদানী, মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, ড. রফিকুল ইসলাম মাদানী, মুফতী মাসউদুল করীম, মুফতী মাওলানা নাসির উদ্দিন, মুফতী মাওলানা মিজানুর রহমান, মাওলানা শফিকুল্লাহ আল মাদানী, মাওলানা মুতাসিম বিল্লাহ ও হাফেজ হাবীবুল্লাহ মুহাম্মদ ইকবাল প্রমূখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের হিফজ সমাপনকারী ছাত্র কিবরিয়া মুহাম্মদ ইরফান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা যাইনুল আবেদীন বলেন, হাফেজদের উপযুক্ত মর্যাদা দেওয়ার সামর্থ পৃথিবীর কারোর নেই। একমাত্র মহান আল্লাই হাফেজদের উপযুক্ত মর্যাদা দেবেন। তিনি বলেন, ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া তথা দ্বীনের দায়ী তৈরির যে মহৎ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে তা’মীরুল মিল্লাত মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা হয়েছে সেলক্ষ্যে এ মাদ্রাসায় হিফজ বিভাগও চালু আছে। যেসব ছাত্রের সহিহ শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াতে সমস্যা আছে তাদের জন্য অভিজ্ঞ ক্বারী নিয়োগ দিয়ে আলাদা শাখা চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত মুমিনের হৃদয় আলোকিত করে। কুরআন তিলাওয়াত করলে জান্নাত ও জাহান্নামের চিত্র চোখের সামনে ভেসে ওঠে। কুরআন তিলাওয়াতে অশান্ত হৃদয়ে প্রশান্তি মেলে। কুরআনে কারিমই একমাত্র কিতাব, যা পাঠ করার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মনে আল্লাহ তায়ালার ভয় সৃষ্টি হয়। যারা সব কিছুতে আল্লাহর ওপর ভরসা করেন, তারা কুরআন কারিম তিলাওয়াত করে আনন্দ পান।